Press "Enter" to skip to content

অফবিট গন্তব্য: বিষ্ণুপুর, পশ্চিমবঙ্গ

কলকাতা থেকে আনুমানিক ১৩০ কিমি দূরে অবস্থিত বিষ্ণুপুর, পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এবং সর্বাধিক দর্শনীয় ঐতিহ্যবাহী স্থান। কী এই জায়গাটিকে এত বিশেষ করে তোলে? ১৭ এবং ১৮ শতকের টেরাকোটা মন্দিরগুলি এখানকার বিশেষ আকর্ষণ। বিষ্ণুপুর পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে বিখ্যাত কিন্তু কম জনাকীর্ণ ঐতিহাসিক স্থানগুলির মধ্যে একটি। পুরানো সাংস্কৃতিক স্থান এবং অপূর্ব প্রাকৃতিক ল্যান্ডস্কেপের মধ্যে অনন্য পোড়ামাটির স্থাপত্য সমৃদ্ধ, বিষ্ণুপুর অভ্যন্তরীণ ইতিহাস গীকের জন্য অবশ্যই একটি দর্শনীয় স্থান। বিষ্ণুপুরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মন্দির হল রাসমঞ্চ। 1600 সালে মল্ল রাজা বীর হাম্বির দ্বারা তৈরি, এটি তার পোড়ামাটির শিল্পে অনন্য। আপনি জোরেবাংলা মন্দির এবং মদন মোহন মন্দিরের মতো অন্যান্য অনুরূপ মন্দিরগুলিতে এই অনন্য বাঙালি নান্দনিকতার প্রশংসা করতে পারেন। মন্দির ছাড়াও, আপনি সুসুনিয়া পাহাড়ের সুন্দর উদ্ভিদ এবং সেখানে প্রবাহিত প্রাকৃতিক ঝর্ণা অন্বেষণ করতে পারেন। নরসিংহ পাথর নামক প্রাচীন চমত্কারভাবে খোদাই করা একশিলা কাঠামো অবশ্যই আশ্চর্যের বিষয়।

কিভাবে যাবেন :
হাওড়া বা সাঁতরাগাছি থেকে সরাসরি ট্রেনে করে বিষ্ণুপুর স্টেশনে যাওয়া যায়। কলকাতা থেকে সরাসরি সরকারি এবং বেসরকারি বাস চলে। এছাড়া ট্রেনে আরামবাগে নেমে সেখান থেকে বাসে করে কামারপুকুর, জয়রামবাটি হয়ে বিষ্ণুপুরে যাওয়া যায়। নিজস্ব গাড়িতে যেতে হলে সোজা মুম্বাই রোড ধরে খড়্গপুর চৌরঙ্গী থেকে ডানদিকে ঘুরে মেদিনীপুর হয়ে যাওয়া যায়। আবার সাঁতরাগাছি বা নিবেদিতা সেতু পার হয়ে আরামবাগ, কামারপুকুর, জয়রামবাটি হয়ে তাড়াতাড়ি পৌঁছানো যায়।

কোথায় থাকবেন :
থাকার জন্য সবচেয়ে ভালো বন্দোবস্ত পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন টুরিস্ট লজে, কিন্তু বর্তমানে এটির সংস্কার চলছে। ভাড়া আনুমানিক ১,০০০-২,২৫০ টাকা। রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের যুব হোস্টেল। ভাড়া আনুমানিক ৪০০-৩,০০০ টাকা। এই হোটেলে রেস্টুরেন্টের ব্যবস্থাও আছে।

ভ্রমণের সেরা সময়: অক্টোবর-মার্চ

Related Images: