Press "Enter" to skip to content

‘আয়রন ডোম’ প্রযুক্তি (অ্যাডভান্সড ডিফেন্স সিস্টেম)

‘ডোম’ মূলত একটা ইংরেজি শব্দ। তবে ডোম শব্দটা এসেছে প্রাচীন গ্রীক এবং লাতিন ডোমাস (Domus) শব্দ থেকে। যার আক্ষরিক অর্থ (“house”)। আইরন মানে তো লোহা এটা তো সবার জানা। ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ প্রকল্প আয়রন ডোম (Iron Dome) একটি ব্য়য়বহুল আকাশ প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি যা রাফায়েল অ্যাডভান্সড ডিফেন্স সিস্টেম নামেও পরিচিত। যে কোন আবহাওয়ায় রাত্র অথবা দিনে যে কোন সময় ৪ থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে সব ধরনের আর্টিলারি শেল হামলা, ক্ষেপনাস্ত্র ও রকেট হামলা প্রতিহত সহ  যে কোন বিমান ধংস করতে সক্ষম এই আয়রন ডোম প্রযুক্তি।

আয়রন ডোম একটি অত্যন্ত ব্যয়-বহুল প্রকল্প। প্রতি আয়রন ডোম ব্যাটারির জন্য খরচ করতে হয় প্রায় ৫০ মিলিয়ন ইউএস ডলার এবং প্রতিটি মিসাইলের জন্য খরচ হয় ৯০ হাজার ইউএস ডলার। একটি আয়রন ডোম ব্যাটারির মোতায়েনের পিছে ইসরায়েল সরকারের মোট খরচ দাড়ায় ৫ কোটি ইউএস ডলাররের উপরে । ৯.৮ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১৬০ মিমি ডায়ামিটারের প্রতিটি আয়রন ডোম এর ওজন ৯০ কেজি। আর আয়রন ডোম নিক্ষেপণ প্ল্যাটফর্মে রয়েছে তিনটা মিসাইল লাঞ্চার যার প্রত্যেকটা ২০টা করে মোট ৬০টি ইন্টারসেপ্টার বহন করে। একটি আয়রন ডোম ব্যাটারি ১৫০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা প্রতিরক্ষা করতে পারে। বর্তমানে আয়রন ডোম ব্যবহারকারী দেশের মধ্যে রয়েছে ইসরায়েল ও সিঙ্গাপুর। তবে বিশ্বের অনেক দেশই এই প্রযুক্তি পেতে আগ্রহ প্রকাশ করে ইসরায়েলের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করছে।

আয়রন ডোমের তিনটি প্রধান অংশ রয়েছে। প্রথম ধাপে ‘দ্য ডিটেকশন অ্যান্ড ট্র্যাকিং রেডার’ নিক্ষিপ্ত রকেটকে চিহ্নিত করে এবং এর গতিপথকে অনুসরণ করতে থাকে। এরপর দ্বিতীয় ধাপে ‘দ্য ব্যাটল ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড উয়েপন কন্ট্রোল’ সিস্টেম হিসাব করে দেখে ওই রকেট ইসরায়েলের কোথায় পড়বে। এ সিস্টেম কেবল সেসব টার্গেটকেই হুমকি হিসেবে বিবেচনা করে যেগুলো থেকে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। খোলা জায়গায় পড়বে এবং কোনো ক্ষতি হবে না, এমন রকেট ধ্বংস করে না আয়রন ডোম। সর্বশেষ কাজ হলো ‘মিসাইল ফায়ারিং ইউনিট’-এর। যখনই কোনো রকেট হুমকি হিসেবে রেকর্ড করা হয়, তখনই মিসাইল ছুঁড়ে আয়রন ডোম। ওই মিসাইল আকাশে থাকা রকেটের খুব কাছাকাছি বিস্ফোরিত হয়ে রকেটটিকে আকাশেই ধ্বংস করে।

Related Images: