ছক্কার দূরত্ব নির্ণয় করা হয় প্রধানত হক-আই যাকে বাংলায় বলা যায় ‘ঈগল চোখ’ ব্যবহার করে। হক-আই ব্যবহার করা শুরু হয় টেনিস খেলা থেকে। ২০১১ সালে ক্রিকেটে এ প্রযুক্তির প্রচলন করা হয়। খেলার মাঠের বিভিন্ন কৌশলগত স্থানে ছয়টা ক্যামেরা বসিয়ে বোলারের হাত থেকে নিক্ষেপ করার পর বল যতক্ষণ পর্যন্ত স্তব্ধ না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত তার উপর নজর রাখে। ক্যামেরা থেকে প্রেরিত সিগন্যালগুলো ত্রিমাত্রিক ইমেজ তৈরি করে। তা থেকে কম্পিউটার মুহুর্তের মধ্যে নির্ণয় করে বলের গতি। বলের গতিকে সময় দ্বারা ভাগ করলেই দূরত্ব পাওয়া যায়। পদার্থ বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকেও বিষয়টি ব্যাখ্যা করা যায়। ক্রিকেট বলকে মনে করতে পারি একটি ঊর্ধ্বে প্রক্ষেপিত বস্তু বা প্রজেক্টাইল। ব্যাটসম্যান বল আঘাত করলে তা কৌণিক ভাবে ঊর্ধ্বে ওঠে এবং অবতরণ করে অধিবৃত্ত সৃষ্টি করে। বলে আঘাত করার পর সৃষ্ট বক্রাকার কোণ থেকে ছক্কার দূরত্ব নির্ণয় করতে পারি।